মুজিব ও দেশ
আহমেদ জসিম
১.
আমার আছেন শেখ মুজিবুর
পিতা তিনি সবার,
গোলাপফুলের সালাম তাঁকে
সালাম রক্তজবার।
তাঁর দেখানো সড়ক ধরে
আমরা সবাই চলি,
চলতে পথে দেখলে আঁধার
‘জয় বাংলা’ বলি।
২.
দূর আকাশে ভুবন-মোহন চিল,
দেখতে সুখে মন করে খিলখিল।
বাগান জুড়ে দেখছি ফুলের হাসি,
পাখির কুজন শুনতে ভালবাসি।
এক আকাশের স্বপ্ন বুকে আঁকি,
দেশটাকে তাই সবার ওপর রাখি।

স্বাধীনতার ঘোষক
জাহাঙ্গীর আলম জাহান
একাত্তরের মার্চ মাসের তারিখ ছিল সাত
এক ভাষণেই মুজিব করেন স্বপ্ন বাজিমাৎ।
ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ার দিলেন তিনি ডাক
হুঙ্কারে তাঁর জাগল জোয়ারÑ বিশ্ব হতবাক।
সাত কোটিকে এক মোহনায় করেন তিনি জড়ো
তাঁর ভাষণে শাসক শ্রেণি কাঁপলো থরোথরো।
সেই ভাষণেই স্বাধীনতার মন্ত্র দিলেন কানে
কে বোঝেনি বজ্রধ্বনি সেই ভাষণের মানে!
প্রাণে প্রাণে জাগল জোয়ার উঠলো প্রবল ঢেউ
পারলো নাতো রুখে দিতে সেই জনরোষ কেউ।
অস্ত্র হাতে লড়াই করে দীর্ঘ ন’ মাস শেষে
আনলো জাতি স্বাধীনতা বীর বাঙালির বেশে
পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে পালায় শাসক-শোষক
আর কেউ নয়Ñ বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক।
ইঁদুর ছানার ছড়া
হাসনাত আমজাদ
ইঁদুর ছানার ই”েছ ভীষণ
ঘুরতে যাবে মার্কেটে
সুযোগ বুঝে পালায় সেদিন
জালের চিকন তার কেটে।
কু ঝিক ঝিক শব্দ তুলে
ছুটছে কেমন রেলখানা
অবাক চোখে তাকিয়ে দেখে
প্রাচীর ঘেরা জেলখানা।
সামনে গিয়ে আস্তে করে
শুধায় সে এক বন্দিকে
মার্কেটে চাই যেতে আমি
পথ বলো না কোন দিকে?
বন্দি তখন হাত উঁচিয়ে
দেয় বুঝিয়ে ইংগিতে
ঐ যে নদী, পার হয়ে যাও
চড়ে বসো ডিঙ্গিতে।
তার কথাটা না মেনে যেই
উঠতে গেলো মোটরে
একটা বিড়াল দেখেই ইঁদুর
লুকোয় গাছের কোটরে।